গাড়ি ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানেন না গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন। গাড়ির অন্যান্য পার্টসের তুলনায় এই পার্টসটির গুরুত্ব কম নয়। তবুও অনেকে এটার প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয় না। ফলাফল অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা, খরচ বৃদ্ধি। কারণ গাড়ির চাকা সরাসরি রাস্তার সাথে যুক্ত। ফলে চাকায় ত্রুটি দেখা দিলে দূর্ঘটনা বা গাড়ির বড় ক্ষতি হতে পারে। মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেমে যেতে পারে।
গাড়ির চাকা বা টায়ার সময়মতো না বদলানোর ফলে এমন নানান সমস্যা হতে পারে। অল্পতে চাকার সমস্যার সমাধান না করলে পরে খরচ বাড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব গাড়ির মালিক গাড়ির বিষয়ে তেমন জ্ঞান রাখেন না তাদেরকে এই বিষয়টি বেশি খেয়াল করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে গাড়ির চাকা কেন বদলাবেন,কখন বদলাবেন, বদলানোর কারণ ইত্যাদি নানা তথ্য জানাবো।
কেন গাড়ির চাকা বদলাবেন?
গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি হলো চাকার যত্ন। কিন্তু এই বিষয়টি প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।চাকা গাড়ির নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা ও ট্র্যাকশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।এই কারণে গাড়ির চাকা নিয়মিত বদলাতে বা চেক করতে হয়। গাড়ির চাকা পরিবর্তন করার বিভিন্ন কারণ রয়েছেঃ
- প্রথমত, গাড়ির অন্যান্য সমস্ত পার্টসের মতো এর টায়ার বা চাকাগুলি সময়ের সাথে সাথে ক্ষয়ে যায়।ফলে রাস্তা আঁকড়ে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়৷এতে ব্রেকের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে,বিরতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং স্কিডিংয়ের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- দ্বিতীয়ত, গাড়ির জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়।জীর্ণ-শীর্ণ চাকা বা টায়ারগুলি গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আরও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।যার অর্থ ইঞ্জিনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িকে আরও শক্তি খরচ করতে হয়।ফলে জ্বালানি খরচ বেশি হয়।
- সবশেষে, আপনার নিরাপত্তার জন্য গাড়ির চাকা বদলানো অপরিহার্য।পুরানো বা ক্ষতিগ্রস্ত চাকা বা টায়ার ফেটে যেতে পারে।অথবা অন্যান্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
চলুন এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেই।
১. টায়ারের ট্রেডের গভীরতা
চাকা বা টায়ারের ট্রেড হলো টায়ারের গায়ের খাঁজ। এটা টায়ারের পৃষ্ঠের প্যাটার্ন যা রাস্তার সাথে সরাসরি যুক্ত। এটা নিরাপদে গাড়ি চালানোর অপরিহার্য দিক। টায়ারের ট্রেডে গভীরতা থাকে। এই গভীরতার স্বাভাবিক পরিমাপ হলো ৩ মি.মি. আর নতুন টায়ারে এই গভীরতা থাকে ৮-৯ মি.মি.। তবে সর্বনিম্ন মাত্রা হলো ২ মি.মি.।এই ট্রেডের গভীরতা কমে গেলে ভেজা রাস্তায় গাড়ি পানি সরাতে পারে না। ফলে পিছলে যায়।ট্রেডের গভীরতা কম হলে তা গাড়ির ট্র্যাকশন বা আঁকড়ে ধরার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই ক্ষমতা কমে গেলে বর্তমানে অনপক গাড়িতেই সতর্ক সংকেত দেয়।এরূপ সংকেত পেলে চাকা বদলাতে হবে।
২. টায়ারের ফাটল
টায়ারে ফাটল ধরলে গাড়ির চাকা বদলাতে হয়। অনেক সময় টায়ারের গায়ে ফোসকার মত দেখা যায়। এটি টায়ার পরিবর্তন করার ওয়ার্নিং। আবার ভুলভাবে চাকার চাপের কারণে টায়ার অসমান হয়।এমন টায়ারও বদলাতে হয়।
৩. টায়ারের মেয়াদ বা বয়স
টায়ারের মেয়াদ বা সার্ভিস লাইফ সর্বোচ্চ ৬ বছর।মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা স্বল্পমেয়াদী টায়ার কিনলে দ্রুতই চাকা বদলাতে হবে। অনেক সময় মেয়াদ আছে এমন টায়ার কিনে তা দীর্ঘদিন না ব্যবহৃত হলেও কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এজন্য টায়ারের বয়সটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ।
৪. আবহাওয়া বা পরিবেশ
গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন জানতে হলে আপনাকে গাড়ি চালানোর পরিবেশের ব্যাপারেও ধারণা রাখতে হবে। কারণ আমাদের দেশে গ্রীষ্মের সময় পিচের রাস্তায় গাড়ি চালালে টায়ারের পরিবর্তন হয়। কারন গরমে পিচও উত্তপ্ত হয়, এদিকে চাকার টায়ার রাবারের হওয়ায় তা উত্তাপে আকার পরিবর্তন করে। আবার বৃষ্টি বা পানিতে ভেজা রাস্তায়ও টায়ার পিছলে যেতে পারে। কর্দমাক্ত রাস্তায়ও একই ব্যাপার হতে পারে। চাকা পিছলে গিয়ে কিংবা কাদায় আটকে টায়ারে ঘষা লেগে ছিদ্র হতে পারে, ক্ষয়ে যেতে পারে, ফাটল দেখা দিতে পারে। এজন্য এমন অবস্থা নিয়মিত চললে টায়ার চেক করতে হয়। ত্রুটিযুক্ত পরিবর্তন দেখলেই বদলাতে হয়।
৫. অতিরিক্ত লোড
গাড়িতে অতিরিক্ত লোড বা ওজন হয়ে গেলে তা চাকার উপর চাপ সৃষ্টি করে। মাত্রাতিরিক্ত ওজনে টায়ার পাংচার,মৃদু গর্ত,ফাটলসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।নিয়মিত অতিরিক্ত লোড হলে তো চাকা ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হয়।
৬. অতিরিক্ত গতি
গাড়ি সবসময় অতিরিক্ত গতিতে চালালে গাড়ির চাকার মেয়াদও দ্রুত শেষ হয়। বেশি গতিতে গাড়ি চালালে টায়ার গরম হয়ে যায়।ফলে দ্রুতই চাকা নষ্ট হয়।
৭. টায়ারের প্রেসার
গাড়ির টায়ারে হাওয়ার প্রেসার সঠিক না হলে চাকায় সমস্যা দেখা দেয়। টায়ারে হাওয়ার প্রেসার কম হলে গাড়ি সেদিকে হেলে যায়।এভাবে গাড়ি চললে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে।এরকম হলে চাকায় হাওয়ার রিডিং দেখে দ্রুত এডজাস্ট করতে হবে অথবা দ্রুত বদলাতে হবে।
গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন?
আপনার গাড়ির চাকা বা টায়ার কখন বদলাবেন সেটা জানা খুবই দরকারি। কারণ এই বিষয়টি রাস্তায় আপনার গাড়ির নিরাপত্তা ও কর্মক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। টায়ার বা চাকার অবস্থা বিবেচনা করার জন্য বিভিন্ন কারণ আছে।প্রথম ফ্যাক্টর হলো আপনার গাড়ির টায়ারের ট্রেড ডেপথ চেক। কারণ টায়ারের আয়ুষ্কাল সীমিত। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এগুলোর চলার ক্ষমতা কমে যায়, রাস্তা ধরে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়। গাড়ির টায়ারের ট্রেড ডেপথ বা গভীরতা চেক করতে কয়েন টেস্ট করতে পারেন।কয়েনটি টায়ারের যত গভীরে যাবে, বুঝতে হবে আপনার টায়ারের আয়ুষ্কাল তত বেশি।কিন্তু কয়েন যদি গভীরে না যায় তাহলে বুঝতে হবে চাকা বদলানোর সময় হয়েছে।
চাকা বদল করার দ্বিতীয় ফ্যাক্টর হলো বয়স।যদি টায়ারের প্রচুর ট্রেড বাকিও থাকে, তবুও বয়স বেশি হলে অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে।সময়ের সাথে সাথে টায়ার ক্ষয় হয়,রাবার ভঙ্গুর এবং ফাটল ধরতে পারে।যার ফলে টায়ার ফেটে যেতে পারে। এজন্য একটি সাধারণ হিসাব অনুযায়ী, মাইলেজ নির্বিশেষে প্রতি ৬ বছরে টায়ার প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।এমনকি আপনি যদি গাড়ি না চালিয়ে বছরের পর বছর রেখেও দেন তাহলেও কিন্তু চাকা বদলাতে হবে।
তৃতীয় ফ্যাক্টর হলো ড্রাইভিংয়ের পরিবেশ। যদি প্রায়ই অমসৃণ ও কাঁচা রাস্তায় অথবা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় গাড়ি চালানো হয়, তাহলে গাড়ির চাকা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে গাড়ির চাকা ঘনঘন চেক করতে হবে ও প্রয়োজন অনুসারে টায়ার প্রতিস্থাপন করতে হবে।
চতুর্থত গাড়ির চাকায় ফাটল ধরলে পরিবর্তন জরুরি।দীর্ঘদিন গাড়ি চালানো, গ্রীষ্মে পিচপর রাস্তার তাপে,বেকায়দাভাবে ড্রাইভিং করা কিংবা খারাপ রাস্তায় গাড়ি চালালে চাকায় ফাটল ধরতে পারে। যেটা দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এমন চাকা দ্রুত পরিবর্তন জরুরি।
গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন সেটা বুঝার আরেকটি উপায় হলো টায়ারের ফুলে যাওয়া দেখে। অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেলেও টায়ার পরিবর্তন করা জরুরি। অনেক সময় যথেষ্ট হাওয়ার চাপ ব্যবহার না করলে গাড়ির টায়ার ফুলে যায়।
গাড়ির চাকা বদলাতে করণীয়
গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন সেসব তথ্য জানলেন। এবার জানাব চাকা বদলাতে কি করবেন। কারণ গাড়ি নিরাপদে চালাতে চাকার টায়ারের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য চাকা বদলাতে টায়ার কিনতে হয়। কিন্তু তখন কিছু বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন এই ব্যাপারে কিছু বিষয় জেনে নেইঃ
- প্রতিটি গাড়িতেই এর জন্য উপযুক্ত টায়ারের সাইজ উল্লেখ থাকে।কেনার সময় গাড়ির কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য উল্লিখিত আকারের সাথে মেলে এমন টায়ার কিনতে হয়।তাই চাকার বদলানোর সময় এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
- টায়ার কেনার সময় অবশ্যই টায়ারের ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট দেখে কিনুন।কারণ টায়ারের মেয়াদ সাধারণত ৬ বছর হয়।টায়ারের গায়ে উৎপাদনের তারিখ থাকে। ৪ সংখ্যার এই তারিখ বুঝার উপায় হলো প্রথম ২ টি সংখ্যা উৎপাদন সপ্তাহ ও শেষ ২ টি সংখ্যা উৎপাদন বছরকে নির্দেশ করে। এটা জানলে মেয়াদোত্তীর্ণ টায়ার কেনার সম্ভাবনা কম হয়।
- ঋতুভেদে টায়ার কিনতে পারেন। কারণ গ্রীষ্মকালে একরকম,বর্ষায় একরকম, শীতের জন্য একরকম আবার সব ঋতুতে চলার জন্য মানানসই এমন টায়ার ব্যবহার করলে টায়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাজেট বেশি থাকলে ঋতুভেদে এরকম টায়ার কিনতে পারেন।
- গাড়ির নিরাপত্তা ও পারফর্মেন্স ভালো রাখতে ধারন ক্ষমতা ও স্পিড রেটিং অনুসারে টায়ার কিনুন। আপনার বর্তমান গাড়ির সুন্দর পথচলাতে টায়ারের স্পিড রেটিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টায়ার স্পিড রেটিং চেক করে টায়ার ক্রয় করুন এবং পরিবর্তন করুন।
- একটি ভালো টায়ার নিরাপদ ভ্রমণের পূর্বশর্ত। আপনি হয়তো গাড়ির পেছনে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করতে আগ্রহী না! কিন্তু জেনে রাখুন, জীবনের চেয়ে দামি কিছু নেই। তাই টায়ার নির্বাচনে দামি এবং ভালো কোম্পানি নির্ধারন করা সবচেয়ে দরকারি সিদ্ধান্ত। এবার থেকে টায়ার কেনার সময় ভালো ও স্বনামধন্য ব্র্যান্ড দেখে কিনুন।
- সস্তা হলেই সেই টায়ার কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন না।কারণ ভালোমানের টায়ার বাজারে প্রায় একই দামের হয়।তাই অনেক সস্তায় যেগুলো পাওয়া যাবে সেগুলোর মান নিয়ে সন্দেহ থাকে।
- একটি টায়ার কিনতে হলে টায়ার ট্রেড যেন অন্য টায়ারগুলোর মতো হয়,ডিজাইন এক হয় সেটা খেয়াল করুন।
গাড়ির চাকা নিরাপদ রাখতে কিছু টিপস
গাড়ির চাকা বদলাতে চাইলেও বিষয়টা সহজ নয়। এর সাথে আর্থিক ও গাড়ির নিরাপত্তা তথা আরোহীদের নিরাপত্তা জড়িত।সামান্য কারণে চাকা না বদলিয়ে খরচ বাঁচাতে পারেন। কিছু সতর্কতামূলক টিপস জানলে কাজে লাগবে।
১. অনেকেই ড্রাইভিং জানেন বলে নিজে নিজে চাকা বদলাতে যান।অনেক সময় দেখা যায় চাকাটা লাগানো সঠিক হয়নি। এজন্য কিছু টাকা খরচ করে ভালো মানের গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়ে চাকা লাগানো ভালো। আর টায়ার কেনার সময় এসব সেন্টারের পরামর্শ নিলেও ভালো টায়ার পেতে পারেন।
২. গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন সেটা জানেন।তবে গাড়ির চাকার রক্ষণাবেক্ষণও জানতে হবে।গাড়ি চালানোর পর টায়ারের দীর্ঘায়ুর জন্য ঠান্ডা,শুষ্ক,সরাসরি সূর্যালোকবিহীন বা অন্ধকার জায়গা এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখুন।
৩. গাড়ির টায়ার কেনার পর ৪০,০০০-৭০,০০০ কি.মি.পর্যন্ত গাড়ি চালালে বা ৫-৬ বছর ব্যবহার করলে পরিবর্তন করুন।
৪. গাড়িতে ভাইব্রেশন বা কম্পন বেড়ে গেলে টায়ারের সমস্যা চেক করুন।
৫. গাড়ির চার চাকার কোনটি অসমান হলে গাড়ি চালাতে সমস্যার সৃষ্টি করে। এজন্য অসমান টায়ার চোখে পড়লে তা দ্রুত সারাইয়ের ব্যবস্থা করবেন।
৬. প্রতিমাসে একবার অথবা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলে গাড়ির চাকা চেক করা জরুরি।
গাড়ির চাকা কখন বদলাবেন কিংবা কি দেখে নতুন টায়ার কিনবেন তা জানতে উপরের তথ্যগুলো যাচাই করুন।টায়ারের কর্মক্ষমতা, স্থায়িত্ব এবং দামের মতো বিষয়গুলিও বিবেচনা করুন। গাড়ির যত্নে আরও ১০টি টিপস জানতে আমাদের এই ব্লগটি পড়ুন।
শেষকথা
আপনার কাছে চাকা বা টায়ার বদলানো একটি ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে।তবে এটি কিন্তু সুন্দর একটি দক্ষতা এবং যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের একটি অপরিহার্য অংশ। যা জানলে আপনাকে সময়, অর্থ ও টায়ার নিয়ে মাথাব্যথা বিষয় থেকে চিন্তা মুক্ত করতে সহায়তা করবে। তাই দেরি না করে দ্রুত আপনার টায়ার পরিবর্তন করুন।কারণ এর উপর আপনার এবং গাড়ির নিরাপত্তা নির্ভর করে।আপনার আগামী দিনের সুন্দর এবং নিরাপদ ভ্রমণের জন্য রইল প্রহরীর পক্ষ থেকে শুভকামনা।