খারাপ আবহাওয়াকে ভালোভাবে বিবেচনায় নিয়ে বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো। এসময় ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় নানা বিপদজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। তাই এসময় ড্রাইভিং করার সময় অনেক বেশি সতর্ক হয়ে চলা উচিত। আপনার সুবিবেচনা আর সাবধানতার ফলে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে বৃষ্টির সময় কিছু সতর্কতা মূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন বিপদগুলো এড়ানো যায়। বৃষ্টির মাঝে নিরাপদে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ৭টি সতর্কতামূলক টিপস দেখে নিন। আশা করা যায় যা আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে রক্ষা করবে।
১। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা
ঝড় বৃষ্টির সিজনে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেয়া পূর্বাভাস জেনে গাড়ি নিয়ে বের হোন। বিশেষ করে যাদের দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ভ্রমণ করতে হয়। কিংবা লং জার্নিতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতির খোঁজ খবর জেনেই পথে বের হওয়া উচিত। তা না হলে অনেক সময় যেমন গাড়ির ক্ষতি হতে পারে। তেমনি আপনিও বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারেন। তাইতো দূরপাল্লার ভ্রমণের সময় অবশ্যই আবহাওয়ার খোঁজ খবর রাখুন। আপনার আগাম সতর্কতা যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে রক্ষা করবে।
২। ধীর গতিতে গাড়ি চালান
যেকোন আবহাওয়া জনিত সমস্যার সময় গাড়ির গতি পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে গাড়ির গতি অবশ্যই কমিয়ে নেয়া উচিত। যা আমাদের যেকোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া সহজ করে তুলবে। সাধারণত ভেজা রাস্তা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে তিন গুণ বেশি পিচ্ছিল হয়। তাই তখন গাড়ির গতিও তিন গুণ কমিয়ে দেয়া দরকার। ভেজা পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়ির গতি না কমালে, যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাটাও বেড়ে যায়।
৩। বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো সময় ফোকাস ঠিক রাখুন
বৃষ্টিতে গাড়ি চালানোর সময় সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। ফোকাস ঠিক না রাখলে যেকোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় যখন রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে। আর তখন ফোকাস ঠিক রাখাটা অনেক বেশি জরুরি। এসময় কোনও কিছু খাওয়া, পড়া, গল্প করা ইত্যাদি বিষয় থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়াও মোবাইল, এফএম রেডিও ইত্যাদি বন্ধ করে রাখলে ভাল হয়। ড্রাইভিং করার সময় এসব কিছু আপনার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
৪। লাইট অন করে রাখুন
বৃষ্টির দিনে নিকষ কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে থাকে। অনেকসময় বৃষ্টির সাথে সাথে চারপাশের পরিবেশ অন্ধকার হয়ে যায়। তখন নিরাপদে গাড়ি চালাতে চাইলে বৃষ্টি নামার সাথে সাথেই হেডলাইট অন করে দেয়া উচিত। আর সেক্ষেত্রে তখন দিন বা রাত যে সময়ই হোক না কেন। মূলত তখন দুটো কারণে হেডলাইট জ্বালাতে হয়। এক হচ্ছে যে অন্য গাড়ির ড্রাইভাররা যাতে আপনাকে ঠিকভাবে দেখতে পায়। এবং দুই হচ্ছে ধোঁয়াশা পরিবেশের মাঝে হেডলাইটের আলোই আপনাকে সবকিছু দেখতে সাহায্য করবে। এছাড়া গাড়ির হেডলাইট ঠিক আছে কি না খেয়াল রাখাটা অনেক জরুরী। নষ্ট হয়ে গেলে তা অতি দ্রুত বদলে ফেলা উচিত। কারন লাইট আপনাকে ঠিক পথ দেখতে সাহায্য করবে। এবং অন্য ড্রাইভারের চোখেও আলো ফেলা থেকে রক্ষা করবে।
৫। সামনের গাড়ি থেকে ৫ সেকেন্ড দূরত্ব রাখুন
সবসময় সামনের গাড়ি থেকে কমপক্ষে ৩/৪ সেকেন্ড দূরত্ব রাখা উচিত। আর বৃষ্টি নামার সময় তা অন্তত ৫ সেকেন্ড করা দরকার। এতে গাড়িতে গাড়িতে ধাক্কা হতে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর তাইতো বৃষ্টির মাঝে ড্রাইভ করার সময়ও অন্য গাড়ি থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। এবং এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও থাকবে না।
৬। এক হাত দিয়ে গাড়ি চালাবেন না
আবহাওয়া খারাপ থাকুক বা নাই থাকুক কখনোই এক হাতে গাড়ি চালাবেন না। অনেকেই এক হাতে মোবাইল ধরে কথা বলেন আর অন্য হাত দিয়ে গাড়ি চালান। কিন্তু এই বদভ্যাস আপনার এবং অন্যদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। এবং বৃষ্টির সময় তা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিবে। সুতরাং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দুই হাত দিয়ে ৯ O”Clcok এবং ৩ O”Clock করে গাড়ি চালানো উচিত। কারণ এর ফলে সর্বোচ্চ কন্ট্রোল পাবেন।
৭। আস্তে করে টার্ন নিবেন
বর্ষাকালে মাঝে মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। তখন দেখা যায় রাস্তা ভিজে অনেকটাই পিচ্ছিল হয়ে যায়। আর ভেজা পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়ির কন্ট্রোল কম থাকে। সেজন্য ভেজা রাস্তায় খুব দ্রুত টার্ন নিবেন না। কারণ তাতে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর তাইতো সতর্কতার সাথে আস্তে করে টার্ন নিন।
৮। গাড়ি থামানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন
অনেকসময় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে যায়। ভেজা পিচ্ছিল হয়ে যায় কিংবা ধোঁয়াশা হয়ে সামনের কিছুই দেখা যায় না। আর সেসময় যদি নিরাপদে গাড়ি চালানো সম্ভব না হয়। তবে সাবধানে হর্ন দিয়ে গাড়ি রাস্তার পাশে সাইড করে ফেলুন। এক্ষেত্রে গাড়ি রাস্তার পাশে থামানোর সময় সিগন্যাল অন করুন। গাড়ির সামনে পিছনে সতর্ক দৃষ্টি রেখে, ব্লাইন্ড স্পটগুলো চেক করুন। এবং যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি রাস্তার পাশে নিয়ে আসুন। এরপর গাড়ির ফোর-ওয়ে লাইটগুলো অন করে দিন।
৯। গাড়ির জানালা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা
বৃষ্টিতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ঠিকভাবে দেখতে পারা খুবই জরুরি। বিশেষ করে যখন বৃষ্টির কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যায়। এক্ষেত্রে জানালা পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত জানালার ভিতরে এবং বাহিরে পরিষ্কার করতে হবে। যদি কুয়াশা জমে যায় তাহলে এয়ার কন্ডিশনার ছেড়ে দিতে হবে। এবং এটার দিক দিয়ে দিতে হবে জানালার ভেন্টসের দিকে। আর গাড়ির ভিতর বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও করতে হবে।
১০। এয়ারকন্ডিশন অন করে রাখা
বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো সময় জানালা খোলা রাখলে গাড়ির ভিতরটা এবং আপনিও ভিজে যাবেন। তখন বাইরের তাপমাত্রা কম থাকলেও গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা তেমন কমে যায় না। এতে গাড়ির ভেতরে গুমোট আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। এবং কাচে বিন্দু বিন্দু ঘামের সৃষ্টি হয়। ফলে ঘাম জমে কাচ ঘোলা হয়ে যায়। যা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে গাড়ির এয়ারকন্ডিশন অন করে রাখুন।
১১। উইন্ডশিল্ড উইপার ব্যবহার করুন
সবসময় গাড়ির উইন্ড শিল্ড পরিষ্কার করে রাখুন। খেয়াল করে দেখুন গাড়ির উইপারগুলো কার্যকর আছে কি না। এগুলো আর্দ্র আবহাওয়ায় আপনার দৃষ্টিসীমা বাড়িয়ে দেবে। প্রতি বছর উইপার চেঞ্জ করা উচিত। যাতে তা ভেঙে যাওয়া এবং ক্র্যাক হওয়া থেকে রক্ষা পায়। আপনার গাড়িতে যদি অটোমেটিক উইপারস না থাকে, তাহলে আপনাকে ম্যানুয়ালি এটা অন করতে হবে। বৃষ্টির দিনে উইন্ডশীল্ড উইপারসের তিনটি সেটিং আছে-ধীর ,মাঝারি এবং দ্রুত। বৃষ্টির ধরণ বুঝে আপনাকে সেই অনুযায়ী স্পীড ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জাজমেন্ট অনুযায়ীই কাজ করবেন। বৃষ্টির সময় যদি আপনার গাড়িতে পিছন উইন্ডশীল্ড উইপারস থাকে, তাহলে সেটাও চালু করে দিবেন।
১২। টায়ারের দিকে খেয়াল রাখা
বৃষ্টির দিনে টায়ারের উপর দিয়ে অনেকটা ধকল যায়। ফলে টায়ার ক্ষয় হয়ে ভেজা সড়কে পিছলে যেতে পারে। কিংবা চাপহীন হয়ে সড়ক আঁকড়ে থাকার ক্ষমতা হারায়। সেক্ষেত্রে টায়ার নষ্ট হয়ে গেলে বা পুরাতন হয়ে গেলে দ্রুত চেঞ্জ করা দরকার। টায়ারের ট্রেড যখন ৪/৩২ ইঞ্চি হয়ে যাবে। তখনি তা রিপ্লেস করে ফেললে ভাল হয়। আর যেসব টায়ারের ট্রেড ২/৩২ ইঞ্চি হয়ে গেছে তা ব্যবহার করা অনেক বেশি বিপদজনক। সুতরাং রাস্তায় গাড়ি বের করার আগে এই দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।
১৩। ফুয়েলের পরিমাণ চেক করা
বৃষ্টির মাঝে মাঝ রাস্তায় গাড়ি ফুয়েলের অভাবে থেমে গেলে বিপদে পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগেই তা চেক করে নিন। দেখে নিন আপনার গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুয়েল আছে কি না। আর এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রহরী ভিটিএস ব্যবহারকারী হন তাহলে ফুয়েল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমেই সবকিছু নিশ্চিত হতে পারবেন। শুধুমাত্র প্রহরী ভিটিএসে পাওয়া এই সার্ভিসের মাধ্যমেই আপনি গাড়িতে কতটুকু ফুয়েল আছে কিংবা কতটুকু খরচ হয়েছে প্রভৃতি জানতে পারবেন।
১৪। জলাবদ্ধ রাস্তা এড়িয়ে চলা
বর্ষাকালে টানা বৃষ্টিতে পথঘাটে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অনেকসময় অতিরিক্ত জলাবদ্ধ সড়কে গাড়ি ড্রাইভ করলে গাড়ির ক্ষতি হতে পারে। জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি চালানোর টিপস। অনেকসময় গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে তা বিকল হয়ে যেতে পারে। আর সেক্ষেত্রে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যেসব সড়ক উঁচু বা বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে না। সেসব রাস্তায় যাতায়াত করতে চেষ্টা করুন। যদিওবা তাতে অনেকটা সময় লাগতে পারে। কিংবা অনেকটা পথ ঘুরেও যেতে হতে পারে। তথাপিও নিরাপত্তা আর গাড়ির সুরক্ষার জন্য বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করাটা ভাল। তবে এক্ষেত্রে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।
১৫। নিচু সড়কে চলার সময় অধিক সতর্ক থাকা
বিভিন্ন নিচু সড়ক খানাখন্দ, গর্ত বা ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় থাকে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় ঝড় বৃষ্টিতে এই সব রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কিন্তু গাড়ি থেকে অনেক সময় জমে থাকা পানির গভীরতা বা গর্তের ব্যাপারটা অনুমান করা যায় না। আর এইসব পানি পূর্ণ গর্তে চাকা আঁটকে যেতে পারে কিংবা গাড়ির ব্রেক ভিজে গিয়েও সমস্যা করতে পারে। এছাড়াও সাইলেন্সার দিয়ে ইঞ্জিনেও পানি ঢুকে যাওয়ার রিস্ক তো আছেই। তাই এইসব সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা দেখলে গাড়ি নিয়ে আগাবেন না। কিংবা ভিন্ন পথে যেতে চেষ্টা করবেন। আর যদিওবা সামনে যেতেই হয়, তবে লক্ষ্য রাখুন সামনের গাড়ি পানিতে নিরাপদে পার হয়ে যেতে পারছে কিনা। সেটা দেখে তারপর সতর্কতার সাথে মাঝ রাস্তা বরাবর এগিয়ে যান।
১৬। খারাপ আবহাওয়ায় গাড়ি থামিয়ে রাখা
বর্ষাকালে টানা বৃষ্টিতে যখন রাস্তাঘাটের অবস্থা অতিরিক্ত খারাপ হয়ে যায়। তখন যদি রাস্তায় গাড়ি চালানো নিরাপদ মনে না হয়। তাহলে তখনই গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেয়া উচিত। বিশেষ করে যখন বৃষ্টির সময় সামনে বা পিছনে কিংবা আশেপাশের কোন কিছুই দেখা যায় না। কিংবা রাস্তায় যখন অতিরিক্ত পানি জমে যায়। অথবা রাস্তা যখন খুব বেশি রকম ভেজা ও পিচ্ছিল থাকে। তখন গাড়ি রাস্তার পাশে থামিয়ে রাখলে ভাল হয়। কারণ অনেকসময় অতিরিক্ত ভেজা রাস্তায় গাড়ি স্লিপ খেয়ে বড় ধরণের এক্সিডেন্টও হতে পারে।
১৭। বাস বা ট্রাককে ফলো করে চলবেন না
বৃষ্টির ভিতর রাস্থায় বাস বা ট্রাককে ফলো করে চলবেন না। এইসব বড় গাড়ি বৃষ্টির মধ্যে চললে, অনেক পানি চারপাশে ছিটিয়ে পড়ে যা দৃষ্টিসীমা কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো থেকে যথা সম্ভব দূরত্ব রেখে চলতে চেষ্টা করুন। যদি এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়, তবে তা সাবধানতার সাথে দ্রুত করুন। আর বড় গাড়ির পিছন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করাটাই উত্তম। কারণ এরা চলন্ত পথে পানি ছিটিয়ে দৃষ্টিসীমা অনেকটাই ঝাপসা করে দেয়।
ঝড়বৃষ্টির দিনে নিরাপদ থাকতে অধিক মনোযোগের সাথে গাড়ি চালান। আপনার একটুখানি সতর্কতা বাঁচিয়ে দেবে অনেক মূল্যবান জীবন। অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পড়ার আগেই তা মোকাবেলা করার পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা উচিত। যেকোন সময়েই পরিবেশ-পরিস্থিতির রূপ পালটে যেতে পারে। তাই সবসময় সচেতন থাকাটা অনেক বেশি জরুরী। গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার আগে অন্তত নিরাপত্তার বিষয়গুলো মাথায় রেখে সতর্কভাবে চলুন। এতে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যেমন কমে যাবে, তেমনি অযাচিত ভোগান্তির মুখেও পড়বেন না। বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো সম্পর্কে আমাদের এই কার্যকরী টিপস গুলো আশাকরি আপনাকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহাজ্য করবে। আষাঢ়ের ঘোর বর্ষণের মাঝেও নিরাপদ হোক আপনার পথচলা।