পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ কে?
গুগল দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে হবে? অবশ্যই না, চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের সামনে যে মালেক চাচা পান বিক্রি করে সেই হলো সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। একটু অবাক লাগছে! অবাক লাগার কিছু নাই। চাচা সারাদিন পান বিক্রি করে এরপর বাসায় যায়, খেয়ে ঘুমিয়ে থাকেন এবং পরের দিন আবার সেই পান বিক্রি। কোন ঝামেলা নেই জীবনে। তিনি সকালে উঠে প্রতিদিন বাজার করেন। বাসায় ফ্রিজ নেই তাই ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার কোন ঝামেলা নেই, টিভি নেই তাই চুরি বা নষ্ট হওয়ার ঝামেলাও নেই, নিজস্ব কার নেই তো Car Security নিয়ে ভাবনাও নেই । দুই ছেলে মেয়ে বাসার পাশেই একটা ভলান্টিয়ারি স্কুলে পড়ে, এদের যাওয়া আসা বা দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই নির্ঝঞ্জাট জীবনযাপন করে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয়ে গেলেন পান বিক্রি করা মালেক চাচা।
আপনি কি এই ঘটনার সাথে পরিচিত?
জীবন যেখানে এগিয়ে চলার, সামনে ছুটে যাওয়ার এবং কঠিন প্রতিযোগীতা পূর্ন সেখানে এমন নির্ঝঞ্জাট জীবন যাপন আপনাকে সবার পেছনে ফেলে দিবে। বড় ভাইয়ের ছেলেটা যেখানে ভালো স্কুলে পড়ছে, সেখানে বাসা থেকে ভালো স্কুল দূরে হওয়ায় মেয়েটাকে সেখানে দিতে পারছেন না। স্কুলে যাওয়া আসা করার জন্যে বেশ বেগ পেতে হয়। অফিস থেকে বাসাও বেশ দূরে। প্রায় দিন যেতে দেরী হয়। বস ইদানীং কেমন করে যেন কথা বলে। সপ্তাহ শেষে একদিন শহরের বাইরে কোথাও ঘুরতে যেতে চাই কিন্তু ফ্যামিলি নিয়ে রাস্তা ঘাটের এমন ঝক্কি পোহানো প্রায় অসম্ভব। সব কিছুর সমাধান ভেবে একটু প্রশান্তির আশায় যে শখের গাড়িটি কিনবেন সেই সাহসও পাচ্ছেন না। কারন যেভাবে প্রতিদিন গাড়ি চুরি হয় , তাই Car Security সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বস্ত ড্রাইভার পাওয়া যায় না, আবার পাওয়া গেলেও মাঝে মাঝে সেও একটু বাড়তি ইনকামের জন্যে ক্ষ্যাপ নিতেও পারে। আমরা সবাই সব কিছুর পরেও একটু বেশিই না হলে হয় না। ড্রাইভারকে চোখে চোখে রাখাও সম্ভব না।
তাহলে সমাধান কে করবে?
প্রয়োজন বলে যে কথাটা আমাদের পিছনে সব সময় ঘুরতে থাকে তাকে আপনি কোন ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। আপনার সমস্যা যত তার সমধান করতে কিছু কিছু মানুষ দেখবেন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এমনই এক চিন্তামুক্তির কথা হবে আজ।
আচ্ছা কোন রূপকথার জাদুকর আপনাকে এসে যদি বলে যে শহরের কোন রাস্তার কোন পয়েন্টে আপনার গাড়িটি আছে, গাড়িতে কতজন আছে, তারা কে কী কথা বলছে, এসি চলছে নাকি বন্ধ নাকি চালু, গাড়িতে ফুয়েল কতটা আছে সেটা আপনাকে ঘরে বসে বলে দিবে তাহলে কি খুব বেশি অবাক হয়ে যাবেন ? নাকি নিজের শরীরে বার বার চিমটি কেটে দেখবেন যে আপনি স্বপ্নে আছেন কিনা।
প্রহরী নামক এক জাদুর কাঠি এখন আপনার দোরগোড়ায়। যে আপনাকে দিবে পূর্নাঙ্গ Car Security। আপনার যত ভেহিকেল আছে সবগুলোর প্রয়োজনীয় সব তথ্য আপনি এক মূহুর্তে পেতে পারেন ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) দিয়ে। এই ক্ষুদ্র ডিভাইসটি আপনাকে মোবাইল ফোনের অ্যাপ্সের/ ওয়েবের মাধ্যমে সব তথ্য সরবরাহ করে যাবে। গাড়ি থাকলেই যে সেটা নিয়ে টেনশন হবে সেই দিন এখন অতীত হয়ে গেছে। কারন প্রহরীর ভিটিএস এখন আপনার কাছে।
চলুন দেখি প্রহরী প্রধানত কী কী কাজ করে –
আজ অফিসে আপনার জরুরী একটা মিটিং আছে। তাই মেয়েটাকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না। তাই মেয়েটা একাই স্কুলে গেল। ড্রাইভার আছে সাথে কিন্তু কখন স্কুলে পৌছাতে পারল সেই খবরটা না পাওয়া পর্যন্ত আপনার সকালের নাস্তাটা গলা দিয়ে নামছে না। ভিটিএস এর ডেসটিনেশন এলার্ট সেট করে দিলে গাড়ি ঐ গন্তব্যে পৌঁছলেই এসএমএস-এর মাধ্যমে আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে জেনে যাবেন।
ফুয়েল মনিটরিং সিস্টেম
আমাদের রাস্তা ঘাটের যা অবস্থা, তাতে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছানো, মাঝে মাঝে খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তারমধ্যে ফুয়েল স্টেশনের উপর সরকারের নানান নিয়ম জুড়ে দেয়া আছে। তাই নিজের ইচ্ছাখুশি সুবিধামত সময়নুযায়ী ফুয়েল নেয়া যায় না। প্রহরী’র ফুয়েল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনি ফুয়েলের অতীত এবং বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। দূরে কোথাও যাওয়া প্রয়োজন হলে আগে থেকে ফুয়েল রিফিল করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। তাহলে আর অসময়ে কোন জায়গায় ফুয়েলের জন্যে গাড়ি বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। নয়তো রাস্তায় ভ্রাম্যমান লোকজন খুজতে হবে বন্ধ গাড়ি ঠেলার জন্যে। এখন আপনার হাতে দুইটি জিনিস আছে। এক,আগে থেকে না জানার কারনে রাস্তায় গাড়ি ঠেলবেন আর দুই, হাতের মুঠোয় ভিটিএস থেকে গাড়ির ফুয়েল রিপোর্ট দেখে আগেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
শখের গাড়ির যত্নাদি জানতে – গাড়ি যত্নে রাখার কিছু কলা-কৌশল!
আমার ড্রাইভার, দুশ্চিন্তার বাহার
আপনি এখন জানতে যাচ্ছেন আপনার ড্রাইভার কতটুকু বিশ্বস্ত। ভিটিএস এর লাইভ ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আপনার গাড়ির গতিবিধি, বর্তমান অবস্থান, কোন রুটে যাচ্ছে- এসব তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনার নির্দিষ্ট করে দেয়া রুটব্যতীত অন্য রুটে চলে গেলেই আপনার ফোনের স্ক্রিনটি জ্বলে উঠবে, যার অর্থ এই যে, আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন এসেছে ভিটিএস টিম থেকে।
আপনি নিশ্চিত এই ব্যাপারটাতে একমত হবেন যে এই প্রতিযোগীতার বাজারে কারো মধ্যে ইফিশিয়েন্সি না থাকলে কোনভাবেই তাকে স্মার্ট বলা যায় না। একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ন ব্যাপারকে কতটা সহজ এবং কমসময়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় সেটাই ভিটিএস এর কাজ। আপনি হয়ে উঠবেন ইফিশিয়েন্ট স্মার্টদের মধ্যে একজন। কারণ- ডেইলি সামারির মাধ্যমে সবগুলো গাড়ির সমস্ত তথ্য দিনশেষে একবারে সামারি আকারে আপনার মোবাইলে এসএমএস আকারে চলে যাবে।
মাইলেজ রিপোর্টের মাধ্যমে কোন দিন কোন রুটে কত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে তার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ড্রাইভার র্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রহরী ব্যবহারে এসি, ফুয়েল, মাইলেজ ইত্যাদি বিভিন্ন ভিত্তিতে মাস শেষে ড্রাইভারদের অটোম্যাটিক র্যাংকিং পাওয়া যাবে। ব্যাপারটা কত সহজ দেখেছেন! গাড়ি আপনার কিন্তু সব টেনশন প্রহরীর। কারন প্রহরী বিশ্বাস করে, ভিটিএস যদি আপনার টেনশন নিতে পারে তাহলে আপনি হয়ত দেশের জন্যে আপনার মেধাটা সেই সময়ে কাজে লাগাতে পারবেন। প্রহরী দেশের সম্পদ, তাই দেশকে একটু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার একমাত্র লক্ষ্য।
আছে প্রহরী, আপনি থাকবেন টেনশন ফ্রি
আপনার ব্যক্তিগত গাড়িটির সুরক্ষা নিয়ে বেশকিছু আলোচনা তো হয়েই গেল। এখন তো আসা যাক আপনার যদি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কিছু গাড়ি থাকে সেগুলোর যত্ন নিয়ে। ইদানিং উবার এবং পাঠাও সহ ট্যাক্সিক্যাব গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গত ১ বছরে শুধু ঢাকায় এই উবারের জন্যে গাড়ি বিক্রির সংখ্যাও বেড়েছে। অ্যাপ দিয়ে খুব সহজেই এই ব্যবসা করা যাচ্ছে। কিন্তু একটি ব্যাপার অগোচরে থেকেই যাচ্ছে। ঢাকা বা চিটাগাং মেট্রোপলিটনের মধ্যেই এই অ্যাপ কাজ করে। এরবাইরে গাড়ি গেলে আর এই হিসেবটা উবার বা পাঠাও এর অ্যাপে থাকে না। তাই আপনিও হয়ত ড্রাইভারের গতিবিধি জানতে পারছেন না। কিন্তু একটি প্রহরী অ্যাপ দিয়ে ভেহিক্যাল ট্রাকার এর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত গাড়ির সাথে সাথে ব্যবসায়িক সব গাড়ির গতিবিধির রিপোর্ট পেয়ে যাবেন। সব গাড়ির রিপোর্ট আপনার এক ফোনেই জমা হতে থাকবে। আলাদা আলাদা করে ড্রাইভারদেরকে ফোন করে খোজ নেয়ার কোন প্রয়োজনই হবে না। আপনি ভাবনাহীন থাকবেন, আপনার Car Security থাকবে প্রহরীর হাতে।
একটু জরুরী
একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে জরুরি বিষয় নিয়ে বলেই শেষ করব। আপনার এত শখের গাড়িটি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে গায়েব হয়ে যাক। কারণ- এখন গাড়ি চুরির ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই চোর যাই করুক না কেন আপনার গাড়িটি গায়েব করতে পারবে না। চুরি হয়ে গেলেই লাইভ ট্র্যাকিং দেখে আপনি নিজেই পৌঁছে যেতে পারবেন গাড়ির কাছে। সাথে করে চোর ভাইদের জন্যে কিছু পুলিশ নিয়ে গেলেন উত্তম-মধ্যমের জন্যে। ভিটিএস আপনাকে নিশ্চিত রাখতে সব প্রয়োজনীয় ফিচার আপনার হাতে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর।
আপনার চলার পথকে যেন আরেকটু সহজতর করা যায় এটাই প্রহরীর মূল উদ্দেশ্য। এগিয়ে যান আপনি, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।