বর্তমান সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় ফুয়েল চুরি একটি বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক গাড়ির মালিকই বুঝতে পারেন না তাঁদের গাড়ির তেল কোথায় কমে যাচ্ছে, কেন মাইলেজ হঠাৎ কমে যাচ্ছে। এই ব্লগে আপনি খুব পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন-
- ফুয়েল চুরির ৫টি নির্ভুল লক্ষণ
- কেন ফুয়েল চুরি হয়?
- কিভাবে নিজেই প্রাথমিকভাবে চুরি শনাক্ত করবেন
- ফুয়েল চুরি রোধের ৫টি কার্যকর উপায়
কিভাবে বুঝবেন গাড়ির ফুয়েল চুরি হচ্ছে?
১) হঠাৎ করে মাইলেজ অস্বাভাবিক কমে যাওয়া
স্বাভাবিক অবস্থায় একটি গাড়ির মাইলেজ খুব দ্রুত কমে যাওয়ার কথা না, যদি না ইঞ্জিনে বড় কোনো সমস্যা হয়। কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্য করেন-
- আগে যেখানে প্রতি লিটারে ১০–১২ কিমি যেত
- এখন সেখানে ৭–৮ কিমি যাচ্ছে
- অথচ গাড়ির ইঞ্জিন, টায়ার, এয়ার ফিল্টার সবই ঠিক আছে
তাহলে এটি ফুয়েল চুরির অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে।
কেন এমন হয়?
ফুয়েল চুরি হলে ট্যাংকের প্রকৃত তেলের পরিমাণ কমে যায়, কিন্তু গাড়ির মিটার সেটি ধরতে পারে না। ফলে গাড়ি চালানোর স্বাভাবিক দূরত্বেও বেশি তেল শেষ হচ্ছে বলে মনে হয়।
২) একই রুটে চলেও আগের তুলনায় বেশি ফুয়েল শেষ হওয়া
আপনি যদি প্রতিদিন একই রুটে গাড়ি চালান। একই লোড, একই সময়, প্রায় একই ট্রাফিক অবস্থা তবুও যদি দেখেন আগে যেখানে ১০ লিটার লাগতো, এখন সেখানে ১২–১৪ লিটার লাগছে, তবে এটি স্বাভাবিক নয়।
কেন এমন হয়?
এই ক্ষেত্রে ফুয়েল সাধারণত গাড়ি চালানোর জন্য ফুয়েল চুরি হচ্ছে না। ফুয়েল চুরির হতে পারে-
- গাড়ি থামানো অবস্থায়
- খাবার বিরতির সময়
- মাল নামানো বা তোলার সময়
- কিংবা রাতে পার্ক করা অবস্থায়
আপনি শুধু “অতিরিক্ত খরচ” দেখেন, কিন্তু কোথায় তেল গেল তা বুঝতে পারেন না। একই রুটে নিয়মিত বেশি ফুয়েল লাগা মানেই গাড়ির তেল কোথাও চুরি বা অপচয় হচ্ছে।
৩) রাতে গাড়ি পার্ক করার পর সকালে ট্যাংকের লেভেল কমে যাওয়া
আপনি রাতে গাড়ি পার্ক করলেন ৬০-৭০% ফুয়েল নিয়ে, সকালে উঠে দেখলেন সেটি নেমে গেছে ৪০-৪৫% এ- অথচ গাড়ি একবারও চালানো হয়নি। এটি ফুয়েল চুরির আরেকটি বড় প্রমাণ।
কেন এমন হয়?
রাতে যখন গাড়ি নজরদারির বাইরে থাকে, ট্যাংকের মুখ দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে অথবা নিচের ফুয়েল লাইনে ছোট ড্রেন কেটে। খুব সহজেই তেল বের করে নেওয়া হয়। বড় গাড়িতে (বাস, ট্রাক, পিকআপ) এই কাজটি আরও সহজ।
৪) ড্রাইভারের দেওয়া হিসাব ও বাস্তব ফুয়েল ব্যবহারের মধ্যে গরমিল
ড্রাইভার বলছে-“আজ ২৪ লিটার তেল নিয়েছি”
কিন্তু আপনি হিসাব মিলিয়ে দেখছেন-
- চালানো দূরত্ব অনুযায়ী ১৬-১৭ লিটারই যথেষ্ট
- অথচ ট্যাংকে তেলের লেভেলও ঠিকমতো মিলছে না
এই গরমিলই ফুয়েল চুরির সবচেয়ে প্রচলিত প্যাটার্ন।
কেন এমন হয়?
অনেক সময় ড্রাইভার যেভাবে চুরি করে-
- বেশি তেল নেয়ার রসিদ দেখায়
- অতিরিক্ত তেল আলাদা করে বিক্রি করে
- মালিককে শুধু কাগজের হিসাব দেয়
ফলে কাগজে সব ঠিক মনে হলেও বাস্তবে ফুয়েল চুরি চলতেই থাকে।
৫) ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপ, পাইপ বা গাড়ির নিচে তেলের দাগ ও গন্ধ পাওয়া
আপনি যদি লক্ষ্য করেন-
- ফুয়েল ক্যাপে নতুন কাটাছেঁড়া বা স্ক্র্যাচ
- ক্যাপ ঢিলা হয়ে গেছে
- গাড়ির নিচে তেলের ভেজা দাগ
- আশপাশে কাঁচা ডিজেলের তীব্র গন্ধ
সবই ম্যানুয়াল ফুয়েল চুরির সরাসরি আলামত।
কেন এমনটা হয়?
চোরেরা সাধারণত ছোট ব্লেড বা পিন দিয়ে পাইপ ছিদ্র করে, খুব ধীরে ধীরে তেল বের করে যেন প্রথমে চোখে না পড়ে ফলে মালিক বুঝতে না বুঝতেই প্রতিদিন ২–৩ লিটার তেল হারাতে থাকেন।
সমাধান কী?
এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এখনই প্রহরী জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার শুরু করুন। প্রহরী দিচ্ছে:
- ফুয়েল কনজাম্পশন রিপোর্ট
- লাইভ লোকেশন ট্র্যাকিং
- জিও-ফেন্স এলার্ট
- ট্রিপ রিপোর্ট চেক করা
প্রহরী ব্যবহার করতে চান?
- প্রহরী ব্যবহার করতে ফর্মটি পূরণ করুন : https://forms.gle/4MyyXC9RMnynS4MB9
- বিস্তারিত জানতে কল করুন: 01700-786848
