প্রহরী

পড়তে লাগবে: 3 মিনিট

বিভিন্ন ব্যাংকের গাড়ির লোন : কত দেয় আর এবং কী কী লাগে?

গাড়ি কেনার সময় মানুষ বেশ চিন্তা ভাবনা করে তারপর গাড়ি কিনে থাকেন। অনেকেই আবার ব্যাংক থেকে গাড়ির লোন নেয়ার ব্যাপারে দোটানায় থাকেন। কারণ অনেকেই আছেন, ব্যাংক লোনের পদ্ধতি  সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখেননা। অনেকে গাড়ি কিনতে চায় কিন্তু টাকার জন্য কিনতে পারেনা আবার অনেকে টাকা থাকা সত্ত্বেও নিয়ম কানুনের ব্যাপারটা জানেনা বা বুঝতে পারেনা। তবে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই, যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে গাড়ি কেনা এখন আগের চাইতে অনেক সহজ। এখন বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন শর্তে লোন দিয়ে থাকে। গাড়ির লোন নেওয়ার পদ্ধতিটাও এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। ব্যাংকের কিছু নিয়ম আর শর্ত থাকে তা পূর্ণ করতে পারলেই খুব সহজেই গাড়ির লোন পাওয়া যায়। আগের মত গাড়ি কেনাটা এখন অতটা জটিল প্রক্রিয়া না।ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে  যে কেউ গাড়ি কিনতে পারে, নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ  শোধের মাধ্যমে ।আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন ব্যাংক কেমন লোন দেয়।

সিটি ব্যাংক

লোন গ্রহিতার ন্যূনতম মাসিক আয়– ৩০,০০০ টাকা ।

লোনের পরিমাণ –  গাড়ির মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ দেয় ব্যাংক।

সর্বোচ্চ লোন– ৩ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

প্রসেসিং ফি– ১  শতাংশ।

ভ্যাট– ১৫ শতাংশ ।

পার্শিয়াল ফি- ১ শতাংশ (কোন মাসে ইন্সটলমেন্ট দিতে না পারলে পরের মাসে যা যোগ হয়)।

ইন্টারেস্ট ফি– ১০.৫ শতাংশ।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-

৩ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন সার্টিফিকেট, অফিস আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড,  ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।

পরিশোধের সময়- ১ থেকে ৫ বছর।

 গ্যারান্টার – একজন গ্যারান্টার (তার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানা দিতে হবে)।

ইস্টার্ন ব্যাংক

লোন গ্রহিতার মাসিক আয়- ৩০,০০০ টাকা। ( ডাক্তার,আইনজীবী,চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ও যৌথ আবেদনকারীর জন্য ৪০,০০০ টাকা মাসিক আয় হতে হবে)।

বয়স- ২২ থেকে ৬০ বছর।

চাকুরি/ব্যাবসায়ের অভিজ্ঞতা- ২ বছর।

মোট লোনের পরিমাণ – গাড়ির মোট  মূল্যের ৫০ শতাংশ   দিয়ে লোন দিয়ে থাকে।

প্রসেসিং ফি– ১,০০০ টাকা।

পার্শিয়াল ফি- ২ শতাংশ(কোন মাসে ইন্সটলমেন্ট দিতে না পারলে পরের মাসে যা যোগ হয়)।

সর্বোচ্চ লোন- ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

প্রয়োজনীয় কাগজ-

৩ কপি ছবি,অফিস আইডি কার্ড , ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট, টিন সার্টিফিকেট।

পরিশোধের সময়- ১ থেকে ৫ বছর।

গ্যারান্টার – প্রয়োজন হয় না।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক

লোন গ্রহিতার মাসিক আয়- ৪০,০০০ টাকা।

বয়স- ২৩ থেকে ৬৫ বছর।

চাকুরি/ব্যাবসায়ের অভিজ্ঞতা- ৬ মাস।

লোনের পরিমাণ– গাড়ির মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ   দিয়ে লোন দিয়ে থাকে।

সর্বোচ্চ লোন– ৪০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

পার্শিয়াল ফি- ২ % (কোন মাসে ইন্সটলমেন্ট দিতে না পারলে পরের মাসে যা যোগ হয়)।

ইন্টারেস্ট ফি- ১১%।

প্রসেসিং ফি- প্রয়োজন নেই।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-

৪ কপি ছবি , পাসপোর্ট, অফিস আইডি কার্ড, ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট, টিন সার্টিফিকেট।

পরিশোধের সময়- ১ থেকে ৫ বছর।

গ্যারান্টার –প্রয়োজন নেই।

 ব্র্যাক ব্যাংক

লোন গ্রহিতার মাসিক আয়- ৫০,০০০ টাকা।

বয়স– ২১ থেকে ৬৫ বছর।

চাকুরি/ব্যাবসায়ের অভিজ্ঞতা – ১ বছর।

মোট লোনের পরিমাণ- গাড়ির  মোট মূল্যের ৫০ শতাংশ   দিয়ে লোন দিয়ে থাকে।

ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ লোন– ৩ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

পার্শিয়াল ফি– ২ %(কোন মাসে ইন্সটলমেন্ট দিতে না পারলে পরের মাসে যা যোগ হয়)।

ইন্টারেস্ট ফি– ১০.২৫%।

প্রসেসিং ফি- প্রয়োজন নেই।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-

৪ কপি ছবি , প্লে স্লিপ, ক্যাশ ভাউচার, অফিস আইডি কার্ড, ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট।

পরিশোধের সময়- ১ থেকে ৫ বছর।

লোন গ্রহিতার মাসিক আয়-৩০,০০০ টাকা।

বয়স– ২৫ থেকে ৫৫ বছর।

চাকুরি/ব্যাবসায়ের অভিজ্ঞতা– ৩ বছর।

মোট শতাংশ– গাড়ির  মোট মূল্যের ৮০ শতাংশ   দিয়ে লোন দিয়ে থাকে।

ন্যূনতম লোন– ৩ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

পার্শিয়াল ফি– ২ %।

ইন্টারেস্ট ফি– ১০.২৫%।

প্রসেসিং ফি– প্রয়োজন নেই।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র– ২ কপি ছবি , প্লে স্লিপ, ক্যাশ ভাউচার, পাসপোর্ট, অফিস আইডি কার্ড, ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, টিন সার্টিফিকেট, ১ বছরের স্যালারি সার্টিফিকেট।

পরিশোধের সময়- ১ থেকে ৫ বছর।

গ্যারান্টার –দুইজন গ্যারান্টার (তাদের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানা দিতে হবে)।

ওয়ান ব্যাংক

লোন গ্রহিতার মাসিক আয়- ৪০,০০০ টাকা।

বয়স– ২১ থেকে ৭০ বছর।

চাকুরি/ব্যাবসায়ের অভিজ্ঞতা– ১ বছর।(পেশাজীবী বা ব্যবসায়ী হলে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে)।

ন্যূনতম লোন – ২ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

ইন্টারেস্ট ফি – ১১.৫০%।

প্রয়োজনীয় কাগজপ্ত্র – কপি ছবি,অফিস আইডি কার্ড , ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট,৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট, টিন সার্টিফিকেট।

পরিশোধের সময় -১ থেকে৫ বছর।

ট্রাষ্ট ব্যাংক

পেশাচাকুরিজীবী, ব্যাবসায়ি, পেশাজীবী।

বয়স– ২১ থেকে ৬০ বছর।

ন্যূনতম লোন– ২ থেকে ৪০ লাখ পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।

ইন্টারেস্ট ফি– ১২.৫০%।

পরিশোধের সময়– ১ থেকে৫ বছর।

প্রয়োজনীয় কাগজপ্ত্র– ৩ কপি ছবি,অফিস আইডি কার্ড , ভিসিটিং কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট,  টিন সার্টিফিকেট।

অন্যান্য– গাড়িটি অবশ্যই ইনস্যুরেন্স করা থাকতে হবে।

মনে রাখতে হবে, গাড়িটি লোন দানকারি প্রতিষ্ঠান ও আপনার নামে যৌথ ভাবে রেজিস্ট্রেশন হবে। যখন আপনি পুরো লোন পরিশোধ করবেন তখন আপনার নামে গাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবে রেজিস্টার্ড হবে। গাড়ির লোন নিয়ে গাড়ি কেনার পর সেটার দেখভাল করাও একটা দায়িত্ব। কারন আপনি যদি আপনার গাড়ির সঠিক রক্ষনাবেক্ষন করে থাকেন তাহলে লোন দানকারী ব্যাংকও আপনার প্রতি আস্থা রাখবে। আর গাড়ির সঠিক রক্ষনাবেক্ষনে আপনার পাশে ও গাড়ির পাশে সবসময় থাকে প্রহরী ভেইক্যাল ট্র্যাকিং সার্ভিস

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top