প্রহরী

পড়তে লাগবে: 4 মিনিট

লুকিং গ্লাস এর আদ্যোপান্ত

গাড়িতে লুকিং গ্লাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টস। আপনি কি জানেন, গাড়িতে লুকিং গ্লাস না থাকলে ট্র্যাফিক পুলিশ আপনাকে আটকাতে পারে এমনকি জরিমানাও করতে পারে। অনেক দেশে সঠিকভাবে লুকিং গ্লাস সংযুক্ত করা একটি আইন। বাস বা বড় পিক আপে বেশীরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে এই লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে থাকা বা না থাকার কারনে । গাড়িতে প্রধানত তিন ধরনের মিরর বা লুকিং গ্লাস লাগানো হয়। একটা ড্রাইভারের সামনে থাকে যেটাকে রেয়ার মিরর বলা হয়। আর দুই দরজার পাশে থাকে দুইটি থাকে সেগুলোকে সাইড মিরর বলা হয় । এছাড়া আছে টোয়িং মিরর, ওয়াইড এঙ্গেল মিরর, পাওয়ার মিরর। গাড়ি চালানোর সময় পেছনে আর আশেপাশে দেখার জন্য দেওয়া হয় এই মিররগুলো। এবং বিভিন্ন পাশ থেকে দেখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ লুকিং গ্লাস গুলো।  এগুলো যেহেতু কাঁচের তৈরি হয় কাজেই ভেঙ্গে গেলে পুরোপুরি পালটানোই শ্রেয়। অনেক সময় সাইড মিররের সুইচে সমস্যা হলে খোলা বা বন্ধ করার সময় অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ভালো মেকানিক দেখিয়ে সারিয়ে নেয়া ভালো। আর যদি দেখেন শুধু আয়নাটি ভেঙ্গেছে তাহলে নিজেই সারিয়ে ফেলতে  পারেন খুব সহজেই। মেকানিকের খরচ বাঁচান আর নিজেই হয়ে যান এক্সপার্ট।

সবসময় চোখ রাখুন লুকিং গ্লাসে

গাড়ির  কোন পার্টস আপনি যখন নিজে ঘরে বসে ঠিক করবেন তখন জেনে নেবেন ঠিক কি কি প্রাসঙ্গিক জিনিসপত্র লাগতে পারে। আর যদি কোন সরঞ্জামাদি বেশী দরকার পড়ে তাহলে আগে থেকেই নিয়ে নেওয়া ভালো । আসুন দেখে নেই কি কি লাগবে আর কিভাবে কি করতে হবে –

  • প্রথমেই আপনার লাগবে দুটি সরঞ্জাম –ব্ল্যাক রাবার সিলেন্ট (আঠা ), আগে থেকে তৈরি গ্লাস মিরর।
  • এরপর দরজার প্যানেল খুলে সরিয়ে নিন।
  • প্যানেল খুললেই দেখতে পাবেন মিররের হার্ডওয়্যার, কাজটা আপনার সেখানেই।
  • ভাঙ্গা বা পুরানো মিরর খুলে নতুন মিরর সংযুক্ত করে নিন।
  • বৈদ্যুতিক লুকিং গ্লাসের ক্ষেত্রে পুরো প্যানেল পাল্টে নেবেন।
  • সবশেষে আবার দরজার প্যানেল আগের মত সংযুক্ত করে নিন।
লুকিং গ্লাস পাল্টানো

লুকিং গ্লাস ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা –

  • গাড়ি চালানোর সাথে সাথে লুকিং গ্লাসগুলো একবার দেখে নিন, আর এটা একটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন।
  • লেন পরিবর্তনের সময় ভালোভাবে লুকিং গ্লাস দেখে নিন।
  • ওভারটেকিং যদি প্রয়োজন হয় তাহলে লুকিং গ্লাস প্রয়োজন খুব বেশী হয়, তবে ওভারটেকিং করা ভালো না।
  • ডানে অথবা বামে মোড় ঘোরার সময় দরকার পরে লুকিং গ্লাসের ।
  • গতি কমানো বা গাড়িকে পুরোপুরি থামানোর সময় লুকিং গ্লাসে দেখে নিন আশেপাশে থেকে কোন গাড়ি বা অন্য কিছু চলে আসছে নাতো।
  • গাড়ি থামানোর পর লুকিং গ্লাস দেখে গাড়ি থেকে নামুন, এতে পেছন থেকে আসা কোন গাড়ি বা মানুষের সাথে সংঘর্ষ হবেনা।
  • যেকোন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লুকিং গ্লাসে অবশ্যই দেখে নেবেন সেগুলো হলো- রাস্তার সংযোগস্থলে, বাঁকা  পথ বা পথচারীদের পারাপারের জায়গায়, রাস্তার কাজ চলছে এমন জায়গায়, ধীরে চলতে হয় এমন জায়গায় ইত্যাদি।
  • মোট কথা সবসময় আপনার চোখ যেন লুকিং গ্লাস থাকে – গতি বাড়ানোর সময়, কমানোর সময়, দিক পাল্টানোর ক্ষেত্রে বা ঘোরার সময়, থামতে বা থামার জন্য ইনডিকেটর দিলে অথবা কোন দুর্ঘটনা এড়াতে।
  • তবে এগুলোর মধ্যে লুকিং গ্লাসের সবথেকে বেশী প্রয়োজন পরে গাড়ি সঠিকভাবে গাড়ি পার্ক করার সময়।
এটি একটি টোয়িং গ্লাস

আধুনিক লুকিং গ্লাস

বর্তমানে তৈরি হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন লুকিং গ্লাস। এই আধুনিক প্রযুক্তির মিরর ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং সিস্টেমে কাজ করে। কোন গাড়ি যখন পেছন থেকে আসে যেগুলো আপনি দেখতে পারেন না সেগুলোকে ক্যামেরা, রাডার এবং আলট্রাসনিক সেন্সর দিয়ে শনাক্ত করে এই লুকিং গ্লাস । যখনই কোন গাড়ি পেছনে আসবে তখনই আপনি একটি  দৃশ্যমান  সতর্ক বার্তা পাবেন। এই পদ্ধতি দুই ভাবে হতে পারে-

  • ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং (BSW)

এর মাধ্যমে চালক একটি দৃশ্যমান বা শুধু শব্দের মাধ্যমে কোন সতর্ক বানী পেয়ে যাবেন। এই পদ্ধতিতে আপনি অতিরিক্ত কোন সতর্কতা পাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এর সিগন্যাল চালু করতে হবে।

ব্লাইন্ড স্পট গ্লাস

 

  • ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিং উইথ অটোম্যাটিক ইমারজেন্সি স্টিয়ারিং (BSW/AES)

লেন পাল্টানোর সময়, এই পদ্ধতিতে যখনই কোন বিপদের আভাস পাবে তখন স্টিয়ারিং একাই ঘুরে যাবে অথবা গাড়ি ব্রেক হয়ে যাবে। প্রায় ৭২০০০ গাড়িতে  ব্লাইন্ড স্পট ওয়ার্নিংয়ের গবেষণা চালানো হয় ।  আর মোটামোটি সব গাড়ির চালকেরা সন্তোষজনক উত্তর দিয়েছেন। এবং বেশিরভাগই জানিয়েছেন দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে।

লুকিং গ্লাস বলে অনেকে চিন্তা করে ধুর এটা নিয়ে ভাববার কোন দরকার নেই ! খুবই নগণ্য ভাবা হয় লুকিং গ্লাসের ব্যবহারকে কিন্তু লুকিং গ্লাস একটি গাড়ির খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টস এবং দুর্ঘটনা কমাতে ব্যাপক সাহায্য করে।  বিশেষ করে অচেনা বা অন্ধকারাচ্ছন্ন কোন জায়গায়। কাজেই বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সেরে ফেলুন এই পার্টসটি। নিজে নিরাপদ থাকুন , গাড়িকে রাখুন নিরাপদে। গাড়িতে ব্যাবহার করুন প্রহরী ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং ডিভাইস। ২০ টির বেশী ফিচার নিয়ে প্রহরী আপনার গাড়িকে দেবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।

    গাড়ির সুরক্ষায় প্রহরী সম্পর্কে জানতে

    Share your vote!


    এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
    • Fascinated
    • Happy
    • Sad
    • Angry
    • Bored
    • Afraid

    মন্তব্যসমূহ

    Scroll to Top