বর্তমানে যেসব গাড়ির গতি ঘন্টায় ২০০ মাইল প্রতি ঘন্টায়, সেসব গাড়িই দ্রুতগতির গাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বুকে এখন যেসব গাড়ি আছে তাদেরমধ্যে বেশ কিছু গাড়ি আছে, যেগুলো তাদের গতির জন্যই সমাদ্রিত। গাড়ি গবেষকদের বিচারে এমন ১৫ টি গাড়ি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
১। কোয়েনিগস্যাগ অ্যাগেরা আর
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৭৩ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩ সেকেন্ড
সুইডিস কোম্পানি ক্রিস্টিয়ান ভন কোয়েনিগস্যাগ এর গতি ভায়রোনের চাইতেও ৭ মাইল/ঘণ্টা বেশি। পৃথিবীর সবচাইতে দ্রুতগতির গাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গাড়ি।
২। বুগাত্তি ভেরন সুপার স্পোর্ট
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৬৭ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- তথ্য নেই
২০১০ সালে কোম্পানির পরীক্ষামূলক রেসিং ট্র্যাকে বুগাত্তি ভেরন সুপার স্পোর্টের সর্বোচ্চ গতি নির্ণয় করা হয়েছিল। তবে কেউ যদি এই গাড়িটি কিনে থাকেন, তাহলে সে সর্বোচ্চ গতি পাবেন ২৫৮ মাইল প্রতি ঘন্টা। টায়ারের সুরক্ষার জন্য গতির এই সীমাবদ্ধতা বেঁধে দিয়েছিল বুগাত্তি ভেরন।
৩। এসএসসি আলটিমেট অ্যারো
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৫৭ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬০ মাইল/ঘণ্টা- ২.৮ সেকেন্ড
দ্রুতগতির গাড়ি তৈরিতে ইরোপিয়ান গাড়ি নির্মাতা দেশগুলোর সুখ্যাতি থাকলেও, সর্বোচ্চ গতির গাড়ির লিস্টের উপরের দিকেই আছে জাপানে তৈরি একটি গাড়ি। বিশ্বাস করুন বা না’ই করুন, ভি এইট ইঞ্জিনের এবং ১২৮৭ হর্সপাওয়ারের এই গাড়িটি তৈরি করেছে জাপানের ওয়াশিংটন স্টেট।
৪. বুগাত্তি ভেরন ১৬৪
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৫৩ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬০ মাইল/ঘণ্টা- ২.৫ সেকেন্ড
আশ্চর্য হবার মতো কিছু না, বুগাত্তি ভেরন মানেই যেন দ্রুতগতির গাড়ি। বুগাত্তি ভেরন ১৬৪ মডেলের গাড়িটি পৃথিবীর সবচাইতে গতিময় গাড়ি তো বটেই। ১২ মিলিয়ন ডলারের গাড়িটি পৃথিবীর সবচাইতে দামি গাড়িগুলোর মধ্যে একটি।
৫. কোয়েনিগস্যাগ সিসিএক্সআর
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৫০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩.১ সেকেন্ড
গাড়ির গতি এবং সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এই গাড়িটি গাড়িপ্রেমীদের স্বপ্নের গাড়ি। ৮০৬ হর্সপাওয়ারের এই গাড়িটির ক্ষমতা ইথাইল এলকোহল সমৃদ্ধ ফুয়েলে চালালে ১০১৮ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত উঠতে পারে। ই-৮৫ নামক ৮৫ শতাংশ ইথাইল এলকোহল এবং ১৫ শতাংশ হাইড্রোকার্বনের এই ফুয়েলের ব্যবহারে গাড়িটি সর্বোচ্চ কুলিং ক্যাপাসিটি দিয়ে থাকে।
0৬. কোয়েনিগস্যাগ সিসিআর
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৪১ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- জানা যায়নি
সবচাইতে দ্রুতগতির প্রোডাকশন কারের খেতাব ম্যাকলারেন এফ ওয়ান থেকে ছিনিয়ে নেয়া একটি গাড়ি হচ্ছে কোয়েনিগস্যাগ সিসিআর। ২০০৪-২০০৬ এর মধ্যে তৈরি সিসিআর মডেলের এই গাড়িটি একটি দুর্লভ গাড়ি হয়ে দাড়িয়েছিল এর গতির কারণে।
৭. ম্যাকলারেন এফ ওয়ান
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৩১ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩২ সেকেন্ড
নব্বইয়ের দশকেই ম্যাকলারেন এফ ওয়ান মডেলের গাড়িটি গ্রেটেস্ট সুপার কার অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতে নিয়েছিল। তৎকালীন সবচাইতে দ্রুতগতির গাড়ি ম্যাকলারেন এফ ওয়ান মডেলের মাত্র ৬৫টি গাড়ি বাজারে ছাড়া হয়েছিল তাই এটিকে অন্যতম দুর্লভ গাড়িও বলা হয়ে থাকে।
৮. পাগানি হুয়াইরা
সর্বোচ্চ গতিঃ ২৩০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩২ সেকেন্ড
দ্রুতগতির গাড়ি হিসেবে পাগানি হুয়াইরা ম্যাকলারেন এফ ওয়ানের বিশ বছর আগেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এর গতি ম্যাকলারেন এফ ওয়ানের ১ মাইল প্রতি ঘন্টা কম। সেই সময়ে এমন গাড়ি যেন গাড়ির জগতে এক বিস্ময় হয়ে উঠেছিল।
৯. ফেরারি এফএক্সএক্স
সর্বোচ্চ গতিঃ ২২৭ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ২.৮ সেকেন্ড
ফেরারির এফএক্সএক্স মডেলের গাড়িটি একটি ‘ট্র্যাক অনলি’ অনলি রেসিং কার। এই মডেলের মাত্র এক ডজন গাড়ি ফেরারি তৈরি করেছিল এবং সবকটিই বিক্রি হয়েছিল রেসিং ট্র্যাকে ব্যবহারের জন্য।
১০. গাম্পের্ট সুপার স্পোর্ট
সর্বোচ্চ গতিঃ ২২৪ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩ সেকেন্ড
নুরবার্গরিং এবং হোকেনহেইম রেসিং ট্র্যাকের অন্যতম দ্রুতগতির গাড়ি এটি। গাড়িটি কোন স্টিগ কর্তৃক চালিত গাড়ির মধ্যেও সবচাইতে গতিসম্পন্ন গাড়িগুলোর একটি।
১১. রাপিয়ার সুপারলাইট কৌপ
সর্বোচ্চ গতিঃ ২২২ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০- ৬০ মাইল/ঘণ্টা- ৩.২ সেকেন্ড
দ্রুতগতির গাড়ি তো বটেই, গাড়িটি এমনিতেও দেখতে শুনতে বেশ চমৎকার! গাড়িটির নির্মাতা কোম্পানি জানিয়েছে এর দুইটি মডেলের গাড়ি ম্যাকলারেন এফ ওয়ানের চাইতে এই গাড়িটি বলতে গেলে একচুল কম বেশি হবে।
১২. অ্যাস্টন মার্টিন ওয়ান-৭৭
সর্বোচ্চ গতিঃ ২২০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়
০-৬২ মাইল/ঘণ্টা- ৩.৫ সেকেন্ড
প্রস্তুতকারক কর্তৃক বাজারে আসার আগেই অ্যাস্টন মার্টিন গাড়িটি রেসিং ট্র্যাকে গতির ঝড় তুলেছিল। এরপর ২০০৯ সালে এই গাড়িটি অফিসিয়ালি দ্রুতগতির গাড়ির তালিকায় উঠে আসে।